ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জোড় ইজতেমা

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জোড় ইজতেমা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:৩২:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:৩২:৪৮ অপরাহ্ন
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জোড় ইজতেমা
গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগতীরে তাবলিগ জামাতের শুরা-ই-নেজামের (জুবায়েরপন্থি) ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ। পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নেওয়া এ পর্যন্ত ৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। জোড় ইজতেমার আয়োজক শুরা-ই-নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয় মোনাজাত। দোয়া পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। আখেরি মোনাজাতে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান শরিক হন।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন শুরায়ে নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরা-ই-নেজামের) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ফজর থেকে হেদায়াতি বয়ান হয়েছে। (যারা আল্লাহপাকের রাস্তায় তাবলিগে বের হবেন তাদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য) বয়ান করছেন ভারতের (বোম্বে) মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বক্তব্য তরজমা করেছেন মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব। নসিহত মূলক বক্তব্য পেশ করেন-ভারতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তার বক্তব্য তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। নসিহত মূলক বক্তব্যের শেষে আখেরি মোনাজাত হয়।
এদিকে, আখেরি মোনাজাতে দোয়ায় শরিক হওয়ার জন্য আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা সকাল থেকে ময়দানে আসা শুরু করেছে। এই দোয়ার মাধ্যমে শেষ হবে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ে নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড়-ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। দ্বীনের দাওয়াতি কাজ শেষে ফের বিশ্ব ইজতেমায় সময় তারা ময়দানে সমবেত হবেন।

মৃত মুসল্লিরা হলেন, রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুর সদর থানার মস্তপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮) এবং সিরাজগঞ্জ সদর থানার শহিদুল ইসলাম (৬৫)। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, রোববার দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে হায়দার আলীকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। কাউসার আলী নামে আরও একজন মারা গেছেন। ইজতেমার চতুর্থ দিনে আমল করার সময় শহিদুল ইসলাম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার ছেলের মাধ্যমে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। সোমবার বাদ ফজর ইজতেমা মাঠে তার জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও গত শুক্রবার বাদ আসর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার দুলালী গ্রামের আব্দুল হামিদ মাতাব্বের ছেলে আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২) ইজতেমায় মারা যান। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এবারের জোড় ইজতেমায় চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার ও নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে জোড় ইজতেমার চতুর্থ দিন। মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরা-ই-নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ